পূর্ণিমার জোয়ারের ফুঁসে ওঠা পানিতে কুতুবদিয়া সয়লাব: বসতঘর ও ফসল বিনষ্ট by আহমদ কবির বাবুল

Wednesday, August 13, 20140 comments

উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় রবিবার সাগরের পানি ঢুকে কয়েকশ’ একর আউশ ফসলসহ কয়েক হাজার বসতঘর পানির নীচে তলিয়ে গেছে। পূর্ণিমার চোরা জোয়ারে বঙ্গোপসাগরে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বীপ-রক্ষাবাঁধের একাধিক ভাঙ্গা অংশসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সমুদ্রের লবনাক্ত পানি ঢুকে পড়েছে। পবিত্র রমজান মাসে বহু  মানুষ গৃহহারা হয়ে কষ্টের কোন সিমা নেই। ঝুঁকিপূর্ন এলাকায় জরুরী বাঁধ সংস্কারের টেন্ডার হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তা ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট টিকাদারের অবহেলায় এই দূর্যোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকাবাসীসহ কুতুবদিয়া বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আ.স.ম.শাহরিয়ার চৌধূরী অভিযোগ করেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উত্তর ধূরুংয়ের চরধূরুং, আকবরবলী পাড়া, নজুমিয়া বাপের পাড়া, ফয়জানি বাপের পাড়া, দক্ষিণ ধূরুংয়ের মদন্যা পাড়া, অলি পাড়া, বাতিঘর পাড়া, লেমশীখালীর পেয়ারাকাটা, কৈয়ারবিলের মলমচর, বিন্দাপাড়া, বড়ঘোপের দক্ষিণ মুরালিয়া, আলী আকবর ডেইলের তাবালেরচর এলাকায় শনি ও রবিবার ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে অনবরত সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়ছে। লবণাক্ত পানির কারণে কয়েকশ’ একর আউশ ফসল বিনষ্ট হয়েছে। গেল জোর পানি নেমে গেলে সংশ্লিষ্ট কাজের টিকাদারের নিয়োগকৃত সাব টিকাদার নামমাত্র মাটির কাজ করে বরাদ্ধের সমুদয় টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন। বেড়িবাধের বাইরে থাকা প্রায় ৯শ’পরিবারের পুনর্বাসন দাবী করেন কৈয়ারবিলর ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর। দ্বীপটির ৪০কি.মি. বেড়িবাঁধের মধ্যে প্রায়  ১৫ কি.মি. অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। দূর্গত মানুষের প্রায়োজনীয় সহায়তা জরুরী বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুমিনুর রশিদ জানিয়েছেন। এদিকে বারবার যোগাযোগ করেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাউকে পাওয়া যায়নি।
Share this article :

Post a Comment

 
Support : Creating Website | Kutubi Template | Kutubi Template
Copyright © 2011. Kutubi Web 11 - All Rights Reserved
Template Created by Creating Website Published by Kutubi Template
Proudly powered by Dhumketo